বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
ঢাকা অফিস :
স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদের জানাজা শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা যাওয়া স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ রিফাতের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে গার্ড অব অনার শেষে মানিকগঞ্জ শহরের সেওতা কবরস্থানে তাকে শায়িত করা হয়। এসময় অসীম জাওয়াদের বাবা, বিমান বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ নানা শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে অসীম জাওয়াদ মরদেহ নিয়ে বিমানবাহিনীর-২১৯ হেলিকপ্টার মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে নামে। জুমার নামাজ শেষে শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়াম মাঠে পাইলট অসীম জাওয়াদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ওয়াইএকে-১৩০ যুদ্ধবিমানটিতে উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রæটি দেখা দেয়। সেসময় বিমানটির পেছনে আগুন লাগে। বিমানে থাকা দুই পাইলট প্যারাসুট নিয়ে লাফ দেন। বিমানটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকার বোট ক্লাবের কাছে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ে। বিমানটির পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থিত বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত অসীম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। তার বাবা ডা. আমান উল্লাহ। মা সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা ছিলেন। এখন অবসরে গেছেন। তারা জেলাশহরের গোল্ডেন টাওয়ারে নিজস্ব ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। অসীম জাওয়াদ চাকরিসূত্রে স্ত্রী অন্তরা আক্তার ও দুই সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে থাকতেন। প্রসঙ্গত, স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমিতে যোগ দেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে পাইলট অফিসার হিসেবে তিনি কমিশন পান। ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর’স স্কুল অব বিএএফ-এ স্টাফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন তিনি। পেশাজীবনে কৃতিত্বের জন্য ‘সোর্ড অফ অনার’ পেয়েছেন অসীম জাওয়াদ। ডিআর কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তি মিশনেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA